মাহমুদুর রহমান মাহমুদ , চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের (হাইব্যা চোরা) পুত্র গরু চুরি ও ইয়াবা সিন্ডিকেটের প্রধান নবী হোসেন (৩৫) এর বিরুদ্ধে জীবনের নিরাপত্তার চেয়ে গতকাল বুধবার চকরিয়া থানায় জিডি করেছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী দাবী করেছেন, বেশ কিছুদিন ধরে সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকার কথিত গরু চুরি ও ইয়াবা সিন্ডিকেটের প্রধান নবী হোসেনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে উপকূলীয় এলাকার কয়েকটি ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বিচারিক কর্মকান্ডে হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছে। অপরদিকে প্রতিনিয়ত দখল বেদখল ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে এলাকাবাসীর স্বার্থে তাকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে বলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে তিনি দাবী করেছেন। এছাড়া বিষয়টি গতকাল বুধবার উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করেছে। উপজেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে এ ব্যাপারে একটি রেজুলেশন (কার্য বিবরণী) পাশ হয়েছে বলেও তিনি দাবী করেছেন। গতকাল বুধবার থানা দায়েরকৃত জিডি নং ৪৫৩/১২/০৬/১৯ইং। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জিডির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জিডি রেকর্ড করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্র মতে, কক্সবাজার জেলার গরু চোর সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে খ্যাত নবী হোসেন বর্তমানে ইয়াবা ব্যবসা ও সন্ত্রাসী লালনের মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় ক’টি মামলা রয়েছে জানতে চাইলে, চকরিয়া থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান দাবী করেন, নথি দেখেই তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কিনা নিশ্চিত হতে হবে।

উপজেলা পরিষদের আইন শৃঙ্খলা সভায় উপকূলীয় এলাকার ত্রাস গরু চুরি ও ইয়াবা সিন্ডিকেট প্রধান নবী হোসেন গং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত নবী হোসেনের বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।